Logo
HEL [tta_listen_btn]

ধলেশ্বরীতে ট্রলার ডুবি…. নিস্ফল ২য় দিনের উদ্ধার অভিযান মামলা দায়ের, ৩ জন আটক, ৫দিন রিমান্ডের আবেদন 

ধলেশ্বরীতে ট্রলার ডুবি…. নিস্ফল ২য় দিনের উদ্ধার অভিযান মামলা দায়ের, ৩ জন আটক, ৫দিন রিমান্ডের আবেদন 

ফতুল্লা সংবাদদাতা
ধলেশ্বরীর বুকে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে ২য় দিনের মতো চলেছে উদ্ধার অভিযান। তবে, সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন সন্ধান মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকালে শুরু করে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান ফায়ার সার্ভিস। তাদের সাথে উদ্ধার অভিযানে যুক্ত হয়েছেন নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বি আইডবিøউটিএ এর ডুবুরি দল। দিনের শেষ খবর পর্যন্ত জীবীত বা মৃত কাউকে উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলম হোসেন জানান, ভোর থেকে নদীতে প্রচুর পরিমানে কুয়াশার কারনে উদ্ধার অভিযানে ব্যাঘাত ঘটছে। আমরা নদীতে কয়েকটি ভাগে উদ্ধার অভিযান করছি। নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বি আইডবিøউটিএ এর ডুবুরি দলও নদীতে নেমেছে। তবে এখনো ডুবে যাওয়া ট্রলারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি করো মরদেহ উদ্ধার করা হয়নি। এদিকে ধলেশ্বরী নদীর তীরে নিখোঁজদের স্বজনরা তাদের প্রিয় মানুষটির জন্য অপেক্ষা করছে। বার বার আহাজারী করে প্রিয় মানুষটিকে ফিরে পেতে চাচ্ছেন। ভোর থেকে এ নদীর তীরে অসংখ্য মানুষ আসতে থাকে। তাদের মধ্যে কারো সন্তান, কারো ভাই এবং নিজের সহকর্মীর সন্ধানে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রীদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত নিখোজ রয়েছেন বক্তাবলী এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, নেয়ামতপুর এলাকার আব্দুল্লাহ, চর মধ্য নগরের জিয়াসমিন আক্তার ও তার মেয়ে তাসমিন আক্তার, ছেলে তামিম এবং দুই বছরের ছোট্ট শিশু তাসফিয়া। তাছাড়াও এ দূর্ঘটনায় উত্তর গোপাল নগর এলাকার মোতালেব মিয়া ও একই এলাকার মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুল্লাহ ও ৬৫ বছর বয়সী হকার শামসুদ্দিন নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে ট্রলারটিকে ডুবিয়ে দেয়া এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি জব্দ করে লঞ্চের চালক মাষ্টার সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে নৌ পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছে বি আইডবিøউটিএ। বুধবার রাতে নৌ নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় তিন জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলো এম ভি ফারহান-৬ যাত্রীবাহী লঞ্চের মাস্টার মো: কামরুল হাসান, ড্রাইভার মো: জসিমউদ্দিন ভূইয়া ও সুকানী মো: জসিম মোল্লা। বুধবার চার জনকে গ্রেফতার করে নৌ পুলিশ। তাদের মধ্যে উল্লেখিত তিন জনকে আসামী করা হয়। একজনকে ছেড়ে দেয় নৌ পুলিশ। নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার মিনা আক্তার জানান, ধলেশ্বরীতে যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবিয়ে দেয়া এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি চালক, মাষ্টার ও সুকানিকে আসামী করে মামলা হয়েছে। সদর ঘাটে জব্দ করা হয়েছে লঞ্চটি। উল্লেখ্য, বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটির ধাক্কায় অন্তত ত্রিশ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি। অনেকে সাতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ হন ৮ জন। সারাদিন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও ডুবে যাওয়া ট্রলারের সন্ধান পায়নি ঘন কুয়াশা ও অন্ধকারের কারনে রাত ৭ টার দিকে প্রথম দিনের উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়।
৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বুধবার রাতে নৌ নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় তিন জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলো এম ভি ফারহান-৬ যাত্রীবাহী লঞ্চের মাস্টার মো: কামরুল হাসান, ড্রাইভার মো: জসিমউদ্দিন ভূইয়া ও সুকানী মো: জসিম মোল্লা। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃতদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বক্তাবলীর নৌ ফাড়ির উপপরিদর্শক আ.মতিন। ধলেশ্বরীর বুকে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে ২য় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান। বৃহস্পতিবার সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। তাদের সাথে উদ্ধার অভিযানে যুক্ত হয়েছেন নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বি আইডবিøউটিএ এর ডুবুরি দল। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। তবে, এখনো জীবীত বা মৃত কাউকে উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি। মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে যে, বুধবার সকাল সাড়ে ৮ আটটার দিকে ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাটের ৫০০ গজ পশ্চিমে ধলেশ্বরী নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে ৪০/৫০ জন যাত্রীসহ খেয়া পাড়াপারের একটি ট্রলার ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাটের পশ্চিম তীর হইতে ধর্মগঞ্জ ঘাটে আসার সময় ভোলা জেলার বেতুয়া (চরফ্যাশন) হইতে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী এম.ভি ফারহান-৬ নামীয় একটি লঞ্চ অত্যন্ত দ্রæত ও বেপরোয়া গতিতে আসিয়া স্বজোরে ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে যাত্রীসহ ট্রলারটি ডুবিয়া যায়। ইহাতে ট্রলারে থাকা যাত্রী মারাত্মক ও সাধারণ জখম প্রাপ্ত হয়। উক্ত দূর্ঘটনার সংবাদ পাইয়া বক্তাবলী নৌ-পুলিশ টিম, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌ বাহীনি ও বি আইডবিøউটিএ একত্রে যৌথভাবে উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করিয়া যাত্রীদের উদ্ধার করে এবং আহত যাত্রীদেরকে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। তবে ৮ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে । নিখোঁজ যাত্রী ও ট্রলার উদ্ধার কাজ অব্যাহত আছে। প্ ঘন কুয়াশার সময় যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচল করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তে¡ও নৌ যানটি চলাচল করার কারণে যাত্রীবাহি ট্রলারটি দূর্ঘটনা কবলিত হয়। লঞ্চের মাস্টার, ড্রাইভার এবং সুকানীর খামখেয়ালীপনা ও দায়িত্ব অবহেলার কারনেই এই দূঘর্টনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী মতিন জানান,বি,আই ডবিøউটির কর্মকর্তা বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তাদের সহায়তায় অভিযুক্ত এম,ডি, ফারহান-৬ নামক লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান, ইনচার্জ ড্রাইভার মো. জসিম উদ্দিন ভুইয়া ও সুকানি মো. জসিম মোল্লা (৩০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি। এমনকি ডুবে যাওয়া ট্রলারটির ও সন্ধান পাওয়া যায়নি। গ্রেফতারকৃতদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রীদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন বক্তাবলী, এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, নেয়ামতপুর এলাকার আব্দুল্লাহ, চর মধ্য নগরের জিয়াসমিন আক্তার ও তার মেয়ে তাসমিন আক্তার, ছেলে তামিম এবং দুই বছরের ছোট্ট শিশু তাসফিয়া। তাছাড়াও এ দূর্ঘটনায় উত্তর গোপাল নগর এলাকার মোতালেব মিয়া ও একই এলাকার মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুল্লাহ ও ৬৫ বছর বয়সী হকার শামসুদ্দিন নিখোঁজ রয়েছেন। উল্লেখ্য, ফতুল্লার ধর্মগঞ্জস্থ চতলার মাঠ গুদারাঘাট এলাকায় নদী পারাপারের সময় এম,ডি, ফারহান-৬ নামক লঞ্চের ধাক্কায় অন্তত ৪০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় একই পরিবারের ৪জনসহ অন্তত ৯জন নিখোঁজ রয়েছে। অন্যরা সাতরিয়ে তীরে উঠেছে। বুধবার সকাল ৮ টায় ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ ঘাটের কাছে মাঝ নদীতে এঘটনা ঘটে। নিখোঁজরা হলেন-মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল্লাহ (২২), মোতালেব (৪২), কলেজ ছাত্র সাব্বির (১৮), চরমধ্যনগর এলাকার একই পরিবারের সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০) এবং তার দুই মেয়ে তাসমিন আক্তার(২০), দেড় বছরের তাসফিয়া আক্তার ও এক ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র তামিম(৮), উত্তর গোপাল নগর মসজিদের মুয়াজ্জিন আবদুল্লাহ ও আওলাদ হোসেন(৩২)।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com